মোঃ আবুল কালাম আজাদ মিঠুর রাজনৈতিক জীবনী


 মোঃ আবুল কালাম আজাদ মিঠু

রিপোর্ট সংগ্রহঃ-কায়সার আহম্মেদ কানন❤️

দীর্ঘ প্রায় ৪৪ বছরের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। যখন মামার বন্ধুরা পড়ালেখা শেষ করে চাকুরীজীবি অথবা ব্যবসায়ী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তখন উনি রাজনীতিকে ক্যারিয়ারের জীবনের ধর্ম এবং কর্ম মনে করে চালিয়ে যান। যা এখন অবধি চলমান রয়েছে। অনেক পরে আমাদের গোমস্তাপুর বাজারে একটি ছোট্ট হার্ডওয়্যার এর দোকান দিয়েছিলেন।কিন্তু সেটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে। মানুষ দোকানে বসে ব্যবসা করার জন্য আর উনি বসতেন রাজনীতি করার জন্য। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। বিএনপি সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাড়িতে হামলা হয়। উভয় জায়গায় ব্যপক ভাংচুর এবং লুটপাট হয়। অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে দোকান বিক্রি করে দেই।রাজনীতি করতে গিয়ে পরিবারকে খুব বেশি সময় দিতে পারেনি। সেই ছোটবেলা থেকে জ্ঞান হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি এমন কোন দিন নায় রাত নায় এলাকার লোকজনের জন্য বাইরে যাননি। আজ রহনপুর,কাল চাপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী এমনকি ঢাকা পর্যন্ত ছুটে গেছেন। কেউ বলতে পারবেনা যে ফোন দিলে ফোন ধরেনি অথবা পরে কল ব্যাক করেনি। দলের জন্য পারিবারিক জীবনকে ত্যাগ স্বিকার করেছেন। কিন্তু দলের কাছে নিজের জীবনের জন্য কিছু চাননি।কিন্তু আজ  জীবনের শেষ সময়ে এসে একটি রাজনৈতিক চেয়ারের জন্য আবেদন করেছেন দলের কাছে, এলাকার জনগনের কাছে। দল মনোনয়ন দিবে কিনা সেটা ভবিষ্যতে বলে দিবে। কিন্তু তার যে দলের প্রতি ডেডিকেশন, রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা উনার এই চাওয়া তার কাঙ্কিথ চাওয়া। খুব বেশি কিছু না। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উনি চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশি। দলের দুর্দিনের কান্ডারি, দলের আদর্শের ধারক এবং বাহক হিসেবে সেই প্রত্যাশা করেছেন। আশা করি দল সেই ত্যাগের মূল্যায়ন করবে এবং জনগনের দোয়া এবং ভালবাসায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জীবিনের শেষ সময়ে এসে চেয়ারম্যান হবেন। সেই দোয়া করি।


সামাজিক কর্মকান্ডঃ মামা রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বিভিন্ন বিচার শালিষ করে চলেছেন। গোমস্তাপুর উপজেলার অতি পরিচিত ক্লাব প্রভাতি সংঘ নামে এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে সুচনা লগ্ন থেকেই জড়িত। এরফান কাকার সাথে থেকে এই ক্লাবটি স্ট্যাবলিশড করেছেন। এই ক্লাবটি আজ চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার ভিতর ফুটবল ক্লাব হিসেবে অতি সুপরিচিত। আজ এই ক্লাবের সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। গোমস্তাপুরের একটি পরিচিত গীতাঞ্জলি  সংগিত বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত আছে। তাছাড়া মসজিদ, ঈদগাহ এবং গোরস্থান কমিটিতেও দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সাথে সভাপতি অথবা সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও  স্কুল এবং কলেজেও ম্যানেজিং কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখনও করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকেন।

১নং গোমস্তাপুর ইউনিয়নে মাঠ জরিপে দেখা গিয়েছে প্রানের গোমস্তাপুর উপজেলায় ১নং গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার মাঝি হিসেবে নতুন মুখ আবুল কালাম আজাদ মিঠু কে চেয়্যারম্যান হিসেবে দেখতে চান।

Comments

Popular posts from this blog

সকল প্রবাসীদের বীমা